Header Ads

Header ADS

The Curious Case of Benjamin Button - সত্যিকার অর্থেই কৌতূহল-উদ্দীপক!

কেমন হবে যদি আপনার হাতের ঘড়িটি উল্টো দিকে ঘুরা শুরু করে? তাহলে কি সময় পেছনের দিকে যেতে থাকবে? অর্থাৎ এখন ২০১৯ সাল। এক বছর পরে কি তাহলে আসবে ২০১৮, এবং তারপর ২০১৭? এটা কি সম্ভব?

                                                        The Curious Case of Benjamin Button মুভির পোস্টার।


হয়ত বাস্তবে এটা সম্ভব না, কিন্তু বড় পর্দায় তো এটা কল্পনা করে নিতে কোন সমস্যা নেই। আর এমনি একটা অসাধারণ বিষয় উঠে এসেছে ডেভিড ফিঞ্চার এর The Curious Case of Benjamin Button মুভি তে।
ঘটনা টা অনেক টা এরকম, জন্মের সময় বেঞ্জামিন বাটন এর শারীরিক গঠন ছিল ঠিক একজন বৃদ্ধ মানুষের মত। বৃদ্ধ মানুষের যতরকম রোগ বালাই থাকা সম্ভব তার সবগুলোই ছিল তার শরীরে। ধীরে ধীরে বেঞ্জামিন বাটন বয়স বাড়তে থাকে কিন্তু আশ্চর্য জনক ভাবে তার শরীর থেকে বৃদ্ধ ভাব কেটে যেতে থাকে। ব্যাপার টা এরকম, তার বয়স যখন ১০ তখন সে বৃদ্ধ ঠিকই কিন্তু কিছুটা সুস্থ। এরপর যখন তার বয়স ১৬ তখন সে তার বৃদ্ধ ভাব প্রায় কাটিয়ে উঠেছে। ৩০ বছর এর সময় সে টগবগে তরুন। তারপরের ঘটনা বলে দিলে অবশ্য মজা শেষ হয়ে যাবে।

                                                         কিশোর বয়সের বেঞ্জামিন বাটন। দেখতে কিন্তু ঠিক একজন বৃদ্ধ!


পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চার এর মুভি যারা দেখে অভ্যস্ত তারা জানেন cinematic এবং visual চমক দেখাতে তার জুড়ি নেই। তবে এই মুভি টা সম্ভবত তার অন্যান্য মুভি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যারা Fight Club (1999) এর রহস্য এবং টানটান উত্তেজনা দেখেছেন, Seven (1995) এ ভয়ঙ্কর এক খুনির সাথে পরিচিত হয়েছেন, তারা সেই জমাট শিহরন হয়ত এই মুভি তে পাবেন না। কিন্তু বিনিময়ে পাবেন একটি পারিবারিক গল্প এবং কল্পবিজ্ঞানের মজাদার ককটেল। ককটেল বললাম এইজন্য, আপনার কখনো মনে হবে আপনি একটি কল্পবিজ্ঞানের মুভি দেখছেন আবার কখনো মনে হবে কত করুণ এই বেঞ্জামিন বাটন এর পারিবারিক জীবন। সাথে অবশ্য বোনাস হিসেবে চমৎকার কিছু হাস্যরস উপভোগ করতে পারবেন।

                                                       দেখতে পুরোপুরি তরুন মনে হলেও বেঞ্জামিন বাটন এর বয়স কিন্তু অনেক বেড়ে গেছে!


অভিনয়ের কাঁটা ছেড়ায় বলা যায়, ব্রাড পিট কে মাথায় রেখেই সম্ভবত বেঞ্জামিন বাটন চরিত্রটি লেখা হয়েছিল, দারুন ভাবে মানিয়ে গেছেন তিনি। কেট ব্লানচেট খারাপ করেন নি ডেইসি হিসেবে। তবে নিঃসন্দেহে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন তারাজি পি হান্সেন। পর্দায় তার উপস্থিতি সব সময় অসাধারণ ছিল।

                                                                             দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন তারাজি পি হান্সেন।


আর শেষমেশ বলতে হয় ডেভিড ফিঞ্চার এর কথা। ভাল গল্প তো অনেক পাওয়া যায় তবে কতজন পারে তা ঠিকমত ফুটিয়ে তুলতে? ডেভিড ফিঞ্চার  অসম্ভব সুন্দর এবং জটিল একটা গল্পকে নিজস্ব স্টাইল এ সফল ভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছেন। মুভির দৈর্ঘ্য নিয়ে কেউ কেউ ফিস ফিস করলেও তা গল্পের চাহিদা মেনেই চলেছে বলে আমার মনে হয়। মেক আপ আর ভিজুয়াল এফেক্ট এর কথা মনে হয় বলে শেষ করা যাবে না! এক কথায় বলে দেই - নেক্সট লেভেল!
আসলে এই মুভি টা নিয়ে একবার বলা শুরু করলে শেষ করাই কঠিন হয়ে যাবে তাই যারা দেখেন নি তাদের হাতেই ছেড়ে দিলাম বাকি টা। 

No comments

Theme images by RBFried. Powered by Blogger.