মহাশূন্য সম্পর্কিত কিছু আজব তথ্য
মহাশূন্য সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের শেষ নেই। আর হবে নাই
বা কেন? এ যেন অপার রহস্যময় মহাসমুদ্র। প্রতি মুহূর্তেই মহাশূন্য তার আয়তন বাড়িয়ে নিচ্ছে
এবং এই বাড়ার গতি আলোর গতির চেয়েও অনেক অনেক বেশি! কেবল এই তথ্য থেকেই আমরা এর বিশালতা
সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেতে পারি। প্রতি মুহূর্তে বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে এর রহস্যও যেন
চক্র বৃদ্ধি হারে বাড়ছে! “মহাশূন্য কি এবং কেমন” এই প্রশ্ন বহুকাল ধরে চলে আসলেও সম্ভবত
আইনস্টাইন কিছুটা স্পষ্ট ধারনা দেন এ সম্পর্কে এবং প্রকাশ করেন তার বিখ্যাত “Space
Time Theory”। যাতে তিনি বলেন, সময় এবং মহাশূন্য একে অন্যর সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে
আছে! হাল আমলের সদ্য প্রয়াত Stephen Hawking এর ধারনা ছিল আরও স্পষ্ট।
মহাশূন্য এর আকার সম্পর্কে বোঝানোর জন্য একটা উদাহরন দেই, আমারা যদি আলোর গতিতে (এই
গতি ৩০০০০০ কিমি/ সেকেন্ড এবং এই গতির ধারে কাছেও যাওয়া আমাদের জন্য অসম্ভব!) পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করে আমাদের গ্যালাক্সি
মিল্কি ওয়ের কেন্দ্রে যেতে চাই তাহলেও আমাদের সময় লাগবে এক লক্ষ আলোকবর্ষ (আলোকবর্ষ
= আলো এক বছরে যতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করে)! আর Stephen Hawking এর মতে, প্রতি সেকেন্ডে হাজার হাজার গ্যালাক্সি জন্ম নিচ্ছে!
যাই হোক, গবেষণা করা আমার অভিপ্রায় নয় তবে মহাশূন্য সম্পর্কে
কিছু মজার তথ্য দেয়ার লোভ সামলাতে পারছি না।
·
মহাশূন্য পুরোপুরি শব্দহীন।
·
আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে
উত্তপ্ত গ্রহ শুক্র এবং এর বাহ্যিক তাপমাত্রা ৪৫০ দিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সূর্যের সবচেয়ে
কাছের গ্রহ কিন্তু শুক্র নয়, বুধ।
·
মঙ্গলে ১৯৮৬ সালে নাসা ফসিল
আবিস্কার করে যা প্রাণের জোরালো প্রমান।
·
একটি আধুনিক নাসা স্যুট বানানোর
খরচ এক কোটি বিশ লক্ষ ডলার বা একশো কোটি টাকা।
·
ইয়ালে ইউনিভারসিটির বিজ্ঞানীদের
মতে পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্রহ তারা আবিস্কার করেছে যার বাহিরের অংশ
হীরা ও গ্রাফাইট দিয়ে তৈরি! ওজনে এটি পৃথিবীর ৮ গুন।
·
চাঁদের বুকে মানুষের
পায়ের ছাপ আগামী ১০ কোটি বছরেও মুছবে না!
·
মহাশূন্য তে অবস্থান
কালে দুই টুকরো একই ধরনের ধাতু নিজেদের সংস্পর্শে এলে তারা চিরদিনের জন্য বন্ধন সৃষ্টি
করে মিলিত হবে।
·
মহাকাশেও ভাসমান পানি আছে।
·
আমাদের অতি পরিচিত চাঁদ
আসলে পৃথিবীরই একটি অংশ যা কিনা বহুকাল আগে কোন অতিকায় বস্তুর আঘাতে পৃথিবী থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
·
আমাদের সৌরজগতের মোট
ভরের ৯৯.৮৬ শতাংশের মালিক সূর্য।
এরকম আরও অনেক মজার বিষয় আছে মহাকাশে যা আমাদের কল্পনাকেও
হার মানাবে। পরিশেষে একটি কথা ভেবে অবাক হতে হয় এই সুবিশাল মহাশূন্য সম্পর্কে আমরা
কতোটুকুই বা জানি?
No comments