Header Ads

Header ADS

The Prestige – জাদুর জগতে আপনাকে স্বাগতম।



জাদুবিদ্যা নিয়ে মুভি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল। ছোটবেলা থেকেই আমাদের মধ্যে আছে জাদু সম্পর্কে অপার কৌতুহল। তাই সেই জাদু কে যদি বড় পর্দায় সুচারু রূপে পাওয়া যায় তাহলে সেই মুভি দেখতে গিয়ে কত প্যাকেট পপকর্ণ যে শেষ হবে তার কোন হিসাব নেই। ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া ক্রিস্টোফার নোলান এর দ্য প্রেস্টিজ মুভি টা তে কেবল জাদুবিদ্যা নয়, সাথে পাওয়া যাবে দুর্দান্ত একটি গল্প যা আপনি অনেক দিন মনে রাখতে বাধ্য হবেন।



1890 সালের দিকে রবার্ট আঞ্জিয়ের এবং আলফ্রেড বরডেন একজন জাদুকরের সহকারি হিসেবে কাজ করতেন। সহকারি হলেও তাদের কাজের ধরন ছিল একটু ভিন্ন। তারা দর্শক সারিতে বসে থেকে জাদুকর কে কৌশল বিন্যাসে নানা ভাবে সাহায্য করত। একদিন এই জাদু কে কেন্দ্র করে একটি মৃত্যু এই দুজন কে সারা জীবনের জন্য শত্রু বানিয়ে দেয়। ভিন্ন হয়ে যায় দুজনের জীবনের পথ।

পরবর্তীতে বরডেন জাদুর দুনিয়াতে খুব একটা নাম কামাতে না পারলেও আঞ্জিয়ের জাদুকর হিসাবে খ্যাতির চূড়ায় উঠে যায়। কিন্তু এই দুজনের শত্রুতা কিন্তু এতদিনে একটুও কমেনি বরং বেড়েছে অনেক গুন। এই শত্রুতা থেকে জন্ম নেয় অনেক নোংরামি, বিশ্বাসঘাতকতা এবং খুনের প্রবণতা। এইখানে আঞ্জিয়ের আর বরডেন এর মূল পার্থক্য হল, আঞ্জিয়ের সফলতা পেলেও প্রতিভায় সে বরডেন এর ধারে কাছেও নেই, এটাই আঞ্জিয়ের এর সবচেয়ে বড় আফসোস। অপরদিকে বরডেন খ্যাতি না পেলেও জাদুবিদ্যা কে সে তার জীবনের অংশ মনে করে। তার পুরো জীবন টাকেই সে জাদুর জন্য উৎসর্গ করেছে। এই কারনে অবশ্য তাকে বেশ কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।



 আঞ্জিয়ের শেষমেশ বরডেন কে হত্যা মামলায় ফাঁসাতে সক্ষম হলেও বরডেন এর কিছু মূল্যবান জাদুর নকশা পাওয়াই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু ঝামেলা তখনো শেষ হয়নি। হত্যা মামলায় ফেঁসে গেলেও বরডেন এর কিছু ব্যাক্তিগত রহস্য আছে যা কিনা আঞ্জিয়ের কে ভোগানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। আসলে
বরডেন এর ব্যাক্তিগত রহস্য গুলোই ছবির মূল আকর্ষণ । ছবির চরিত্র গুলোকে ছাপিয়ে জাদু আর রহস্য গুলোই আসলে কেন্দ্রিয় ভূমিকা পালন করে। তাই ছবিটি বিশেষ হয়ে উঠেছে।
ছবিটি দেখা হয়ে গেলে আপনি বেশ কিছু স্টেজ ম্যাজিক কৌশল সম্পর্কে জানতে পারবেন। তবে মনে রাখা দরকার ছবিটি অসম রৈখিক ভাবে কাহিনী বর্ণনা করবে। নোলান ভক্ত রা অবশ্য তাতে খুব একটা অবাক হবেন না। অসম রৈখিক কাহিনী বলেই মনে হয় মুভির মজা বেড়ে গিয়েছে হাজার গুন।  যারা এটা সম্পর্কে জানেন না তাদের অল্প কথায় বলি, কাহিনিকার কখনো পূর্বের ঘটনা আগে বর্ণনা করেছেন আবার তার পরের চিত্রেই দেখা যাবে বর্তমান সময়ের ঘটনা। এটাই অসম রৈখিক কাহিনী। যাই হোক আমার কথার মাথামুণ্ডু না বুঝে থাকলে অসম রৈখিক কাহিনী বোঝার জন্য হলেও মুভিটি দেখে ফেলুন। 




ক্রিশ্চিয়ান বেল বরডেন চরিত্রে ছিলেন একেবারে মানানসই,  হিউ জ্যাকম্যানও ছিলেন অসাধারণ। তবে সবকিছু ছাপিয়ে নোলান এর পরিচালনাই ছবির আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয় অনেক খানি। ভাল একটি কাহিনী কে কিভাবে অসাধারণ ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে হয় তা বোঝার জন্য এই ছবিটি দেখতে হবে। নোলান এমন ভাবে ছবিটি সাজিয়েছেন যে আপনাকে পুরো মুভি শেষ করতে হবে এবং হয়ত কিছু প্রশ্নের জবাব আপনি তারপরেও পাবেন না। মজা টা এখানেই, এই প্রশ্ন গুলোই আপনার চিন্তা টা কে সীমা অতিক্রম করতে সাহায্য করবে। তাই যারা এখনও দেখেন নি দেরি না করে মুভি টি চট করে দেখে ফেলুন।

2 comments:

Theme images by RBFried. Powered by Blogger.