আমার ছাদের বাগান (পর্ব -৪)
দেখতে দেখতে চার নম্বর পর্বে চলে আসলাম। মাসখানেক আগে কিছু শাক
সবজির বীজ বুনেছিলাম। দেখতে দেখতে সেগুলো বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। তাই ভাবলাম আমার ব্লগে
সেইটা শেয়ার করি। প্রথম দিকে আমার ছাদের বাগানে ফলের এবং ফুলের গাছের
বেশি প্রাধান্য ছিল। কিন্তু ঢেঁড়স গাছের সাফল্যর পর শাক সবজির পরিমান অনেক বেড়েছে।
সামনে আরও বাড়াবো ইনশাল্লাহ।
এখানে মূলত মাচাগুলোর ছবি দিলাম। এই মাচা গুলোতে শিম এবং করলা
গাছের বীজ বুনেছিলাম। প্রথম দিকে যেই শিম বীজ বুনেছিলাম তারা বেশ অনেকটা বড় হয়ে গেছে।
আশা করি ১৫-২০ দিনের মধ্যেই ফুলের দেখা পাবো। করলা গাছের বীজ গুলো বেশি একটা ভাল
পাইনি। তাই মনে হয় গাছ গুলো কিছুটা দুর্বল। লাগিয়েছি প্রায় দেড় মাস আগে কিন্তু যতটুকু
বড় হওয়ার কথা ছিল তত বড় হয়নি গাছ গুলো। যদিও নিয়ম মেনে 2g এবং পরে 3g করে দিয়েছিলাম কিন্তু তারপরও আশানুরূপ বড় হয়নি গাছগুলো। যারা লতানো
গাছে 2g এবং 3g কিভাবে করতে হয় জানেন না তাদের জন্য আলাদা একটা
লেখা দিব ভাবছি। এটা করা খুব সহজ এবং করলে ফলন প্রায় ৩-৪ গুন বেড়ে যায়। লতানো গাছ অর্থাৎ
লাউ, কুমড়া, করলা, শসা, ধুন্দল, চিচিংগা এই সকল গাছে 2g এবং 3g
পদ্ধতি খুব ভাল কাজ দেয়। যাই হোক বিস্তারিত পরের লেখাতে দিয়ে দিব ইনশাল্লাহ।
শিমের চারাগুলো আমার পরিকল্পনামাফিক বড় হয়েছে। মাচাগুলো কেবল
দড়ি দিয়ে করে দিয়েছি। তাতেই কাজ হবে মনে হয়। পাশে সামান্য নেট দিয়ে দিয়েছি। তাতে বেশ
ভাল কাজ হয়েছে। এখন কেবল অপেক্ষা ফুল আসার।
মাটি এবং সারের কথা একটু বলে নেই, সাধারন ঝুড়া মাটি ব্যাবহার
করেছি। টব এবং সাথে কয়েকটি বস্তাও কাজে লাগিয়েছি। বস্তাগুলোর তলায় কয়েকটা ফুটো করে দিয়েছি এবং সামান্য সুরকি ও সুকনা ঘাস পাতা দিয়েছি যাতে করে
পানি নিষ্কাশন খুব সুন্দর হয়। সারের কথা বলতে গেলে একটা কথাই বলব, আপাতত কেবল তরল জৈব
সার দিচ্ছি সপ্তাহে ২-৩ দিন করে। কোন প্রকার রাসায়নিক সার এখনও ব্যাবহার করিনি।
যারা তরল জৈব সারের ব্যাপারে জানতে চান তারা আমার আগের পর্বের
লেখাটি পরে দেখবেন, সেখানে বিস্তারিত বলে দিয়েছি।
তাহলে আপাতত ফুল আসার অপেক্ষায় আজকের এই পর্বটা এখানেই শেষ করছি।
the pictures are so real....
ReplyDelete