Header Ads

Header ADS

John Wick: Chapter 3 – Parabellum - ম্যারাথন অ্যাকশন!!!





বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল কোন মুভির রিভিউ দেইনি। আসলে সেরকম ভাল কোন মুভি এই কয়েকদিনে দেখা হয়নি যেগুলো আমার ব্লগে শেয়ার করতে পারি। তাছাড়া আমার এই ব্লগ সাইট এ নতুন কয়েকটি বিভাগ খোলার কারনে সেগুলোর পিছনে কিছু সময় দেয়া লেগেছে। যাই হোক এই মুভিটা দেখার পর ভাবলাম একটা রিভিউ শেয়ার করা যেতে পারে।

জন উইকের আগের দুইটা মুভি যারা দেখেছেন তারা জানেন অ্যাকশন এই সিরিজের শেষ কথা। প্রথম মুভিটাতে তাও কিছুটা রয়েসয়ে চলার চেষ্টা করেছিলেন পরিচালক Chad Stahelski। দ্বিতীয় মুভিটাতেও কিছুটা ছাড় পেয়েছিলেন দর্শকরা। অ্যাকশনের মাঝে মাঝে কিছুটা বিরতি দেয়া হয়েছিল। তবে এবার যেন পরিচালক পণ করেছিলেন দর্শকদের একটুও স্বস্তিতে থাকতে দিবেন না! আর হয়েছেও তাই।



Crime Underworld এর একজন সক্রিয় সদস্য জন উইক। প্রথম মুভিতেই দেখা যায় তার খুবই প্রিয় পালিত কুকুরের জন্য সে যুদ্ধ ঘোষণা করে বসে পুরো Underworld এর বিরুদ্ধে। অবশ্য এই কুকুরের ব্যাপারটা আপনাকে পুরো জানতে হলে প্রথম মুভিটা দেখতে হবে। তারই রেশ হিসেবে দেখা যায় দ্বিতীয় মুভিতেও সে তার যুদ্ধ চালিয়ে যায়। এইখানে একটা কথা বলে নেয়া ভাল দ্বিতীয় মুভিটা একটু আধটু বিরক্তির উদ্রেক ঘটাতে পারে আপনার কাছে। তবে বিরক্তি মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যাবে যখন আমাদের সবার প্রিয় অভিনেতা কিয়ানু রীভস “জন উইক” হিসেবে তার অ্যাকশন গুলো সম্পন্ন করতে থাকবেন।  মুভিগুলোতে কয়েকটা জায়গায় খটকা লাগতে পারে, যেমন হাইটেবিল কি বা কন্টিনেন্টাল হোটেলের ব্যাপারটা কি? অল্প কথায় বলে নেই, Crime Underworld এর একটি নির্দিষ্ট প্রশাসন রয়েছে যারা খুবই পেশাদারভাবে সব কিছু সামলায়। তাদের হাইকমান্ড “হাইটেবিল” নামে পরিচিত। কন্টিনেন্টাল হোটেল গুলোকে অনেকটা গুন্ডা পাণ্ডা দের আশ্রয়স্থল বলা যায়।



মুভির প্রসঙ্গে আসি, আমার খুব একটা প্রত্যাশা ছিল না এই মুভিটাকে নিয়ে। আগের দুইটা মুভি আমার কাছে মোটামুটি লেগেছিল যদিও অ্যাকশন গুলোর কোন তুলনা হয় না। তবে কাহিনীটা কিছু কিছু জায়গায়  একটু একঘেয়ে লেগেছিল। তাই ভেবেছিলাম এই তিন নম্বর মুভিটাও হয়ত সেরকম কিছুই হবে। তবে মুভি দেখা শেষ করে চমকে উঠলাম। এককথায় ম্যারাথন অ্যাকশন মুভি। বলতে বাধ্য হচ্ছি, এক মুহূর্তের জন্যও স্বস্তিতে থাকতে দেননি পরিচালক, এবং তাঁকে পুরোদমে সহায়তা করে চলেছিলেন কিয়ানু রীভস। মুভির শুরুতেই দেখি জন উইক ছুটছে একদম শেষে এসেও তার এই ছুটা কমেনি একটুও। পুরো মুভিতেই একটুও ব্রেক নেয়নি জন উইক আর দর্শকদেরও ব্রেক দেয়নি। মাঝে অবশ্য অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। ছোট ছোট এইসব ঘটনা বলে দিলে মুভির মজা নষ্ট হয়ে যাবে অনেকটাই। তবে এটুকু বলি, কয়েকটি চরিত্র আপনাকে দারুনভাবে বিস্মিত করবে এবং তাদের পরিনতি আপনার কল্পনাকেও হার মানাবে নিশ্চিত। অ্যাকশন গুলো আগের দুটো মুভির মতই R-Rated তবে এবার এক্ কাঠি সরেস। তাই মানসিক প্রস্তুতি থাকা ভাল।

মুভি যারা দেখেননি তাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে নতুন কি আছে এই মুভিতে? আসলে নতুনত্ব বলতে সেভাবে আপনি হয়ত কিছু নাও পেতে পারেন, তবে কিয়ানু রীভস এর দুর্দান্ত অভিনয়, পার্শ্ব চরিত্রগুলোর সমান অভিনয়দক্ষতা, কিছুক্ষন পর পর চমক, এবং একটি খুবই সরলরেখার কাহিনী আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সাথে অ্যাকশনের কথা আর নাই বা বললাম।

যারা অ্যাকশন মুভি পছন্দ করেন তাদের জন্য হয়ত না বললেও চলছে কারন হয়ত সবাই এর মধ্যে নিশ্চয়ই দেখে ফেলেছেন এই মুভিটা। যারা Drama মুভি পছন্দ করেন তাদেরও সমান আনন্দ দেবে এই মুভিটি। আর এরই মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ঘোষণাও চলে এসেছে। তাই আপনাদের মত আমিও অপেক্ষায় আছি পরের মুভিটার জন্য।

No comments

Theme images by RBFried. Powered by Blogger.