আমার ছাদের বাগান (পর্ব - ১)
ঢেঁড়স
অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম আমার ছাদের গাছের ছবিগুলো পোস্ট করব।
ফেসবুক এ করতে পারতাম কিন্তু মনে হল আগে ব্লগে পোস্ট করে দেখি। আসলে ফেসবুক এ তো সবাই
পোস্ট করে, তাই নতুন করে তাদের ভিড়ে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছে হল না। ফেসবুক
এ পোস্ট করলে হয়ত একটু বেশি মানুষের কাছে আমার ছবিগুলো যেত কিন্তু ছবির সাথে আমার
কথাগুলো হয়ত মানুষের কাছে পৌঁছাত না। তাই আমার মনে হল ব্লগই হতে পারে সবচেয়ে ভাল
মাধ্যম।
হেডিং দেখে অনেকেই মনে করছেন এখানে ঢেঁড়স আসলো কথা থেকে। আসলে
৪-৫ রকমের শাক সবজি চাষ করছি আমার ছাদে। অবশ্যই খুবই অল্প পরিসরে। নিজে ভালমত খেতে
পারছি আর ২-৪ বার প্রতিবেশীদের দিতে পেরেছি। ওই ৪-৫ রকমের শাক সব্জির প্রথমটি হোল ঢেঁড়স।
শুরুটা বলি, আগে থেকেই ছাদে গাছ লাগানোর শখ আমার বহুদিনের।
বেশ কয়েক বছর ধরে লাগিয়ে আসছি। কিন্তু শুরুতে কেবল পাতাবাহার আর ফুল গাছ লাগিয়েছি।
সাথে অল্প কিছু মরিচ আর ক্যাপ্সিকাম লাগিয়েছিলাম। তারপরে কয়েকটি আম আর লেবু।
কিন্তু ৩-৪ দিন পরপর ফসল তোলার যে মজা তা এই গাছ গুলো তে নেই। তাই সাহস করে আড়াই
মাস আগে বাজার থেকে ঢেঁড়সের বীজ কিনে আনলাম। দাম খুবই কম মনে হোল। ৪০ টাকার
প্যাকেটটায় প্রায় ২০০ বীজ ছিল। তার থেকে ৩০-৩৫ টা নিয়ে একটি ছোট পাত্রে বুনে দিলাম।
বাকিটা আসলে বলে শেষ করা যাবে না।
সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে বলব, বাজারে যেসব রাসায়নিক সার পাওয়া
যায় তা না দেয়াই ভাল। আসলে সার প্রয়োগের ব্যাপারটা নিয়ে আলাদা একটা লেখা তৈরি করার
ইচ্ছে আছে। তাই আর এখানে বিস্তারিত বললাম না। তবে অল্প কথায় আজকে বলি, আমার বাসায় যেসব
ফলমূল বা শাক সবজির খোসা থাকে, তা আমি ফেলে না দিয়ে পানিতে ভিজিয়ে তরল জৈব সার তৈরি
করি। কষ্ট খুবই কম এবং একদম সহজ ভাবে তৈরি করা যায়।
যাইহোক, ছবিগুলো কেমন এসেছে জানি না। এখানে ছোটবড় মিলিয়ে ২৭
টা ঢেঁড়স গাছ আছে। ২-৩ দিন পরপর ১২-১৫ টা করে ঢেঁড়স ছিঁড়ে নেয়া যায়। আর খেতেও চমৎকার!
আসলে আমার মনে হয় নিজের গাছের যেকোনো শাকসবজির মজা বাজারের থেকে হাজার গুন ভাল।
No comments