Header Ads

Header ADS

Upgrade – প্রতিশোধ ...নাকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাসত্ব?





কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। সেই আদিকাল থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। আর তাই এই চমৎকার বিষয় টিকে নিয়ে হলিউডেও নির্মিত হয়েছে প্রচুর মুভি। ১৯৬৮ সালে Stanley Kubrick নির্মাণ করেন অন্যতম সেরা ক্লাসিক মর্যাদা পাওয়া 2001: A Space Odyssey যা কিনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসুবিধা গুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা দিয়েছিল। আর হাল আমলে তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মুভি বানান তো নিয়মিত ঘটনা। সুপারহিরো রাও রেহাই পায়নি এর কাছ থেকে। অ্যাভেঞ্জারসদের অন্যতম ভিলেন Ultron এর জন্মও হয়েছিল Artificial Intelligence Project বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে। যাই হোক আজকে বলছি আপগ্রেড মুভিটা নিয়ে যা কিনা দেখার পর আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে,  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ?

মুভির কাহিনীর শুরুটা এমন, একটি গাড়ির দুর্ঘটনা এবং একই সাথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়ার সময় স্ত্রীকে হারায় গ্রে ট্রেস। সাথে সাথে নিজেও হারায় চলাচল করার ক্ষমতা। এ অবস্থায় গ্রে একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার চিপ এর সাহায্যে আবারো ফিরে পায় চলাচল করার ক্ষমতা। তবে চিপটা কেবলমাত্র চলাচল করার ক্ষমতাই দেয়নি, সাথে আরও অনেক ক্ষমতা দেয় গ্রে কে। তবে এসব ক্ষমতা তার জন্য ভাল না খারাপ হয়ে দেখা দেয় তা জানতে হলে আপনাকে মুভিটা দেখতে হবে।



সাধারনত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোন প্রযুক্তিকে আসলে আবিস্কার এবং নিয়ন্ত্রন করে একজন মানুষ। প্রথমটি নিয়ে অর্থাৎ আবিস্কার নিয়ে কোন সমস্যা নেই কিন্তু সমস্যা হয় নিয়ন্ত্রন নিয়ে। আপনি কতোটুকু নিশ্চিত আপনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রন মেনে নেবে একটি রোবট বা একটি সুপার কম্পিউটার যার নিজের একটি মস্তিষ্ক রয়েছে এবং এই মস্তিস্কটির ক্ষমতা একজন মানুষের তুলনায় অসীম। এখানেই মানুষের সাথে যন্ত্রের যুদ্ধ শুরু। 2001: A Space Odyssey মুভিতেও আমরা দেখতে পাই, একটি সুপার কম্পিউটার যার নিজের চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা আছে, তার উপর সমগ্র স্পেসশিপ এর দায়িত্ব দিলে সে কিরকম আচরন করতে পারে। অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেন একটি ভয়ংকর দানব, ছোট থাকতে হয়ত সে ততটা হিংস্র নয় তবে সময় যত যেতে থাকবে সে আরও বেশি দানবীয় হয়ে উঠবে এবং একটা সময় মানুষকে সে নিজের প্রতিপক্ষ মনে করবে। আর যেহেতু তার চিন্তা করার ক্ষমতা থাকে তাই সে নিজের ভালোর জন্য যে কোন কিছু করতে পারে এটাই স্বাভাবিক।



আসলে আপগ্রেড মুভিতে এই ব্যাপারটাই একটু ভিন্নভাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষ নিজে হয়ত ভাবছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সে নিজে নিয়ন্ত্রন করছে কিন্তু বাস্তবে তা নাও হতে পারে। অর্থাৎ একসময়  উলটোটাই ঘটতে থাকে গ্রে এর সাথে। তবে শুধু এতটুকুতেই মুভির কাহিনী শেষ নয়, মাঝে আছে আরও অনেক চমক এবং অসাধারণ কিছু কমেডি। কমেডি গুলো কিছুটা ডার্ক তাই নিঃসন্দেহে সবার কাছেই ভাল লাগার কথা। গ্রে চরিত্রে লোগান মার্শাল গ্রিন সম্ভবত নিজের জীবনের সেরা অভিনয়টি করেছেন। সাথে আছে কিছু অসাধারণ পার্শ্বচরিত্র আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চিপ stem। এরকম একটি অসাধারণ কাহিনিকে আরও অসাধারণ করে ফুটিয়ে তোলার জন্য পুরো বাহবা পাবেন পরিচালক লেই ওয়ানেল। মুভির দৈর্ঘ্যও আপনাকে বিরক্তির হাত থেকে রক্ষা করবে অনেকখানি। আর অ্যাকশান গুলো খুবই উপভোগ্য।

আসলে আপনি যদি সাই-ফাই মুভির ভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে বিনা দ্বিধায় বলা যায় এই মুভিটা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। তাই সেই কথাটিই আবার বলছি যেটা সবসময় বলে থাকি, পপকর্ণ নিন আর চালু করুন মুভিটি। ভিন্ন স্বাদ পাবেন নিঃসন্দেহে!

No comments

Theme images by RBFried. Powered by Blogger.