আমার ছাদের বাগান (পর্ব – ৯)
গত কয়েকদিন বেশ কিছু ব্যাক্তিগত কাজের ঝামেলায় ছিলাম।
ভাবছিলাম ব্লগ টায় লেখা দেয়া দরকার। কিন্তু কাজের চাপের কারনে হয়ে উঠছিল না। আজকে সকাল থেকেই
ভাবছিলাম যত ব্যাস্ততাই থাকুক না কেন আজকে লিখবই। তাই আমার ব্যাক্তিগত শত ব্যাস্ততা
একটু দূরে রেখে বসে গেলাম লিখতে। ছাদের বাগানের পর্বগুলো আমার কাছেও খুব প্রিয় এবং
লিখেও আমি অন্যরকম আনন্দ পাই। একজন মানুষও যদি এই লেখাগুলো পরে আনন্দ পান বা তার কাজে
লাগে তাহলে আমার আনন্দের সীমা থাকবে না।
যাই
হোক, আসল কথায় আসা যাক। আজকে আমার ছাদবাগানের চেরি টমেটো গাছ নিয়ে লিখব। এই লেখাটা
এক পর্বে শেষ করতে পারব না। কমপক্ষে তিনটা পর্ব লাগবে সব কথা বলে শেষ করতে। তাই আশাকরি
আপনারা সবাই লেখাটার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে দেখবেন।
মাস
তিনেক আগে আমরা কয়েকজন ছাদবাগানিরা ফেসবুক এর একটা ইভেন্ট এ অংশগ্রহণ করেছিলাম। সেই
ইভেন্ট এ এক আপু (নামটা এখন মনে করতে পারছি না!) আমাকে এই চেরি টমেটোর বীজ গুলো গিফট
করেছিল। আমিও দেরি না করে সাথে সাথে বাসায় এনে বীজগুলো বুনে দেই। আলহামদুলিল্লাহ বীজের
মান খুবই ভাল ছিল। প্রায় সব বীজ থেকেই চারা গজিয়েছিল। আর আমার কাছে মনে হয়েছিল অনেক
তো মাটির টব ব্যাবহার করেছি, এবার একটু প্ল্যাস্টিকের বোতল ব্যাবহার করা যাক। তাই মাটি
তৈরি করে প্ল্যাস্টিকের বোতল গুলোতেই চারা গুলো লাগিয়ে ফেললাম। মাটি তৈরির পদ্ধতি আর
টবে মাটি কিভাবে বসাবেন তা আমার আগের লেখাগুলোতেই পাবেন তাই এখানে আর নতুন করে লিখলাম
না। চারা গুলোর বয়স ২০-২৫ দিন হতেই আমি সেগুলোকে টবে নিয়ে গেছি। আসলে আরেকটু দেরি করলেও
সমস্যা নাই কিন্তু চারা যদি যথেষ্ট বড় না হয় তাহলে বড় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে টবে
নেয়া দরকার। আমি এর আগে এই ভুল করেছিলাম, ছোট থাকতেই চারা টবে নিয়ে নিয়েছিলাম, এবং অল্প কয়েকদিন যেতে না যেতেই চারা গুলো মরে যেতে পারে। তাই কমপক্ষে
২০-২৫ দিন বড় হতে দিতে হবে চারাগুলোকে।
তারপরে
আর কোন কাজ নাই, এরপর খালি খেয়াল রাখতে হবে গাছগুলো যেন হেলে না পড়ে। আর ৩০-৪০ দিন
পরেই ফুল এসে যাওয়ার কথা। সার কিভাবে প্রয়োগ করবেন বা কি সার ব্যাবহার করা ভাল তা
আমি আগের একটা পোস্টে বলে দিয়েছি আর তরল জৈব সার তৈরি করার পদ্ধতি আলাদা ভাবে একটা
পোস্টে দিয়ে দিয়েছি। আমি মুলত প্রথমে কমপোস্ট দিয়ে মাটি তৈরি করেছি আর তারপর ৪-৫
দিন পর পর তরল জৈব সার প্রয়োগ করি।
আজকে
তিনটা ছবি দিলাম। সামনে এই চেরি টমেটো নিয়েই আর পর্ব করব ইনশাল্লাহ।
No comments