আমার ছাদের বাগান (পর্ব - ৮)
আগের পর্বে আমার ছাদের বাগানের কিছু গাছের ছবি আর তাদের নিয়ে
কিছু কথা বলেছিলাম। সাথে দিয়েছিলাম কিছু টিপস। আজ তারই ধারাবাহিকতা ধরে
রাখার চেষ্টা করছি। তার আগে বলে নেই কি কারনে এই লেখাটা দিতে একটু দেরী হয়েছে। আসলে
আমার ইচ্ছে ছিল ছাদ বাগানের পর্বগুলো যত তাড়াতাড়ি পারি দিয়ে দিব। এই লেখাগুলো শেয়ার
করতে আমি অন্যরকম আনন্দ পাই। আর এই লেখাগুলো যদি আপনাদের সামান্যতম আনন্দও দিয়ে থাকে
আর কাজে লেগে থাকে তাহলে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করব। কিছু সামান্য ব্যাক্তিগত
কাজের কারনে লেখা দিতে সামান্য দেরী হয়েছে। যাই হোক এবার আসল কথায় আসা যাক।
আজকে প্রথমেই শেয়ার করতে চাই আমার ছাদের বাগানের একটি
পেয়ারা গাছের। পেয়ারার জাতটা আপেল। মানে বলতে চাচ্ছি পেয়ারা গুলো দেখতে আপেলের মত
হবে। গাছটা ডালের কাটিং থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে। গাছটা পেয়েছি একটি বিশেষ জায়গা থেকে।
কোথা থেকে পেয়েছি সেটা না হয় আরেকদিন বলব। পেয়ারা গাছটার জন্য আগে থেকেই একটি রঙের
বালতি আলাদা করে রেখেছিলাম। যেভাবে আমার ছাদের অন্নসব গাছগুলোর জন্য মাটি প্রস্তুত
করেছিলাম এটার জন্যও মাটি সেভাবে প্রস্তুত করেছি। ছবিটাও শেয়ার করে দিচ্ছি।
এবার আসি আমার ছাদের শাকের বেডের ব্যাপারে। তিন প্রকারের শাক
বুনেছিলাম। ডাঁটা, লাল আর পালং। এদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ভাবে বড় হয়েছে লাল শাকগুলো।
তাই সেটার ছবিই শেয়ার করলাম। এই ক্ষেত্রে আপনাদের সাথে একটা টিপস শেয়ার করতে চাই।
এই শাকের বেড গুলো একটু ছায়া ঘেরা জায়গায় ভাল হয়। দিনের অর্ধেক সময় রোদ পাবে এবং
বাকি অর্ধেক সময় ছায়া পাবে এমন জায়গায় এই শাক গুলো খুব ভাল হয়।
আজকের দিনের শেষ ছবি টা হোল আমার সেই শিম গাছগুলো। সময় যতই যাচ্ছে
আমার এই শিম গাছগুলোকে দেখে আমি ততই অবাক হচ্ছি। আসলে টবে যে শিম গাছ লাগানো যায়
এবং সেটা থেকে যে ভাল ফলনও পাওয়া যায় আসলে নিজের চোখে না দেখলে সেটা বিশ্বাস করতাম
না। আমার আগের একটা পোস্টে শিম গাছ লাগানোর পুরো প্রক্রিয়া ভালমত দিয়ে দিয়েছি। আপনারা
চাইলে দেখে নিতে পারেন।
No comments