আমার ছাদের বাগান (পর্ব - ৭)
আগের পর্ব গুলোয় বিভিন্ন টিপস নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। মাটি কিভাবে
তৈরি করবেন, মাচা কিভাবে দিবেন, তরল জৈব সার কিভাবে বানাবেন এইগুলো বলেছি। আজকে ভাবলাম
আমার ছাদের বাগানের কয়েকটা গাছের ব্যাপারে বলি। আমার বাগানে আপাতত প্রায় ৭০-৮০ টা মৌসুমি
শাকসবজির টব এবং বস্তা রয়েছে। ক্যাপ্সিকাম, বেগুন আর টমেটো গুলো মাত্র কয়েকদিন আগেই
লাগিয়েছি তাই সেগুলোর ছবি শেয়ার করলাম না। এছাড়াও শিম আর শাকের বেডের ছবি এর আগে শেয়ার
করেছি। তাই এবার ভাবলাম বাকিগুলো বাদ থাকবে কেন?
প্রথমেই আছে কয়েকটা দেশি মরিচ গাছ। এগুলোকে অনেকটা অবহেলা করেই
বুনেছি বলা যায়। কেবল প্লাস্টিকের বয়ম ফুটো করে মাটি ভরে লাগিয়ে দিয়েছিলাম। ফলন ভাল
হয়েছে মাশাল্লাহ। মাঝে মাঝে তরল জৈব সার টা দিয়েছি আর কোন সার দেই নি। একটা কথা বলে
রাখি, মরিচ গাছের মাথা ভেঙে দিলে তার ফলন অনেক গুন বেড়ে যায়। আমি এই কাজটা করেছি যখন গাছের বয়স ১ মাস হয়ে গেছে। বীজ পাওয়াও খুব সহজ। বাজারে
যে শুকনো মরিচ কিনতে পাওয়া যায় সেগুলোর বীজ ব্যাবহার করেছি।
এর পর আসি অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর গাছের কথায়। আমার আসলে এই
গাছের তেমন একটা শখ নেই। তবে একজন আমাকে একটা গাছ উপহার দিয়েছিল, সেটা থেকেই আরও অনেক
গাছ জন্ম নিয়েছে। একটা মজার ব্যাপার হোল, অ্যালোভেরা গাছের যত্ন বলতে গেলে করাই লাগে
না। কেবল নিয়মিত পানি দিলেই চলে।
শেষে আসি আমার বাগানের বেগুন গাছের টবে। বাজার থেকে খুবই অল্প
দামে ১০০ গ্রাম দেশি লম্বা বেগুনের বীজ কিনেছিলাম। সেগুলো থেকেই এই গাছগুলোর জন্ম।
এই গাছ গুলোর জন্য বেশ খাটনি করা লেগেছে আমার। প্রথমে ছোট পটে ফুটো করে
নেয়া লেগেছে। তারপর দিয়েছি ইটের সুরকি, তার উপরে দিয়েছি, শুকনো ঘাসপাতা। এটা দেয়ার
দুইটা উপকারিতা আছে। প্রথমত এটা আপনার টবের পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থা শক্তিশালী করবে,
আর দ্বিতীয়ত এই ঘাসপাতা গুলো পচে ভাল সার হয়ে মাটিকে পুষ্টি দিবে। যাইহোক মূল কথায়
আসি, ঘাসপাতার পরে দিয়েছি সাধারন মাটি। মাটিতে মিশিয়ে নিয়েছি কমপোস্ট। আপনারা চাইলে
বাজার থেকে কমপোস্ট কিনে নিয়ে পারেন অথবা শুকনো গোবর মেশাতে পারেন। ব্যাস আর কোন কাজ
নেই। এরপর গাছগুলোকে সাবধানে সাবধানে বুনে দিয়েছি।আর ৩-৪ দিন পর পর তরল জৈব সার দিয়েছি।
এইটা বানানোর প্রক্রিয়া আমার এই ব্লগের আগের একটা পোস্টে দেয়া আছে। বানানো খুব সহজ,
আপনারা চাইলে দেখে নিতে পারেন।
No comments